Cover PhotoCover Photo

ইয়াং ট্যালেন্ট প্রোগ্রামের অধীনে স্নাতক ট্রেইনি

রবি ইয়াং ট্যালেন্ট প্রোগ্রাম আজিয়াটার দর্শনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ২০১৫ সালের মধ্যে আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন হবার জন্য গড়ে তোলা হয়। প্রোগ্রামটির উদ্দেশ্য হল প্রতিটি দেশের আগামী দিনের অধিনায়কদের প্রতিভা বিকশিত করা।

এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম কমিউনিকেশন কোম্পানি হিসাবে আজিয়াটা ভারত এবং সিঙ্গাপুরে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগ্রহণ সহ মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ায় মোবাইল অপারেটর হিসাবে কাজ করে আসছে। এশিয়ায় গ্রুপটির সহায়ক এবং সহযোগীদের মিলিয়ে ১৯০ মিলিয়নের অধিক মোবাইল গ্রাহক রয়েছে এবং সাশ্রয়ী ও উদ্ভাবনী মোবাইল সার্ভিসের দ্বারা এশিয়ার ৯টি দেশের ১.৬ বিলিয়ন মানুষের চাহিদা গ্রুপটি পূরণ করছে। সব মিলিয়ে গ্রুপটি এশিয়ার ২৫,০০০ এরও অধিক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। আজিয়াটার দর্শন হল উদ্ভাবন করা ও বিশ্বের সেরা প্রতিভাদের একটি একক লক্ষ‍্যের দিকে (“এডভান্সিং এশিয়া”- এশিয়ার অগ্রগমন) ঐক্যবদ্ধ করা ।

আমাদের ইয়াং ট্যালেন্ট প্রোগ্রামের অধীনে গ্র্যাজুয়েট ট্রেনী হল আগামী দিনের অধিনায়কদের প্রস্তুত করার একটি উদ্যোগ। এটি বিশ্বের বিভিন্ন প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশী স্নাতকদেরকে, নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠানের ও দেশের ভবিষ্যৎ নেতা হিসাবে গড়ে তোলার একটি সুযোগ দিচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হল আজকের তরুণদের কার্যকর ও প্রতিযোগিতামূলক ভাবে উন্নয়ন করা, বিশ্বব্যাপী নিজেদেরকে প্রকাশ করা এবং ক্যারিয়ার গতিশীল করার মাধ্যমে ভবিষ্যতের অধিনায়ক হিসাবে গড়ে তোলা। এই সম্ভাবনাময় তরুণরা ভিন্নধরনের একটি অভিজ্ঞতা গ্রহণ করবে যার মাধ্যমে তারা তাদের পূর্ণ ক্ষমতা উপলব্ধি করতে পারবে।

এটি তরুণরা নিজেদের প্রতিষ্ঠানের ও সাথে আজিয়াটা গ্রুপের ভেতর একজন তরুণ প্রতিভা হবে; যা তাদের দুরন্ত গতিশীল কমিউনিকেশন শিল্পে সঠিক গুণাবলী ও আচরণ শেখার সুযোগ দেবে।

অন্যান্য গতানুগতিক একাডেমিক স্কলারশিপ থেকে ভিন্ন, আজিয়াটা ইয়াং ট্যালেন্ট প্রোগ্রাম (রবি ইয়াং ট্যালেন্ট প্রোগ্রাম) ক্লাসরুম স্কলারশিপের বাইরেও ১ বছরের “এক্সিলারেটেড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম” দেবে যা প্রাপকের ব্যক্তিত্বকে সম্পূর্ণরূপে বিকাশ করবে।

মালয়েশিয়াতে আজিয়াটা জম্ম-থেকে-মৃত্যু নীতি অনুসরণ করে যেখানে তারা বিশ্বমানের নেতা তৈরির জন্য প্রাথমিক শ্রেণী থেকে একদম সিএক্সও পর্যন্ত খেয়াল রাখে!

বাংলাদেশ, যেখানে আজিয়াটা রবি নামে পরিচিত, সেখানে প্রায় ১১৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩০ মিলিয়ন শিক্ষার্থীর রয়েছে। প্রথমে রবি স্নাতকদের লক্ষ্য করে বিশ্বমানের দক্ষ জনশক্তি বানাবে যারা বাংলাদেশে এগিয়ে নেবার মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে সমগ্র এশিয়াকেই এগিয়ে নিয়ে যাবে।

রবি বিজনেস এবং ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল উভয়ের সমন্বয়ে বিশ্বমানের প্রতিভাদের খুঁজবে যারা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রতিনিয়ত অবদান রাখবে।

রবির এই তরুণ প্রতিভাদের নিয়ে নেয়া উদ্যোগ ধীরে ধীরে অন্যান্য বড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানকে এরকম প্রতিভা খুঁজে বের করতে এবং তাদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব বিকাশ করার সুযোগ করে দিতে আগ্রহী করে তুলবে।