রবি আজিয়াটা লিমিটেড একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি। এখানে আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ অব মালয়েশিয়ার স্টেক ৬১.৮২%, ভারতী এয়ারটেল অব ইন্ডিয়ার স্টেক ২৮.১৮% ও বাকি ১০% স্টেকহোল্ডার সাধারণ জনগণ। ২০২০ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর দেশের সর্বকালের বৃহত্তম আইপিও নিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের টুইন স্টক মার্কেটে এই কোম্পানি আত্মপ্রকাশ করে।
১৯৯৭ সালে ‘একটেল’ ব্র্যান্ড নামে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে টেলিকম মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল (বাংলাদেশ)। পরবর্তীতে ২০১০ সালে কোম্পানিটির নতুন ব্র্যান্ড নাম হয় ‘রবি’ এবং কোম্পানির নাম পরিবর্তিত হয়ে ‘রবি আজিয়াটা লিমিটেড’ হয়।
রবি বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এর গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৩৭ লাখ, যার মধ্যে থেকে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৪জি গ্রাহক। ইন্ডাস্ট্রিতে সর্বোচ্চ শতাংশ (৭৩.৭%) ডেটা ব্যবহারকারী থাকায় রবি গর্বিত।
এয়ারটেল বাংলাদেশ’র সাথে একীভূত হওয়ার পর ২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে একীভূত কোস্পানি হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করে রবি আজিয়াটা লিমিটেড (রবি)। এখন পর্যন্ত এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম এবং টেলিযোগাযোগ খাতের প্রথম একীভূতকরণের ঘটনা।
রবিই প্রথম কোম্পানি যা দেশের ৬৪টি জেলায় ৪.৫জি সেবা চালু করে। ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যিকভাবে ৪জি সেবা চালু হওয়ার প্রথম দিনই এ মাইলফলক অর্জন নিশ্চিত করে রবি। রবি দেশের প্রথম মোবাইল অপারেটর যা সারাদেশের ১০০% নেটওয়ার্ক সাইটে ৪.৫জি প্রযুক্তি স্থাপন করেছে। ২০২১ সালের শেষ নাগাদ প্রায় ১৪,৮১০ টি সাইট নিয়ে দেশের ৯৮.১% জনগণের কাছে ৪.৫জি নেটওয়ার্ক পৌঁছে দিয়েছে রবি।
অপারেটরটি দেশের অনেক ক্ষেত্রে ডিজিটাল সেবা চালু এবং দেশের গ্রামীণ ও উপশহর এলাকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের দোরগোড়ায় মোবাইল আর্থিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করছে। দেশের একমাত্র মোবাইল ফোন অপারেটর হিসেবে ৪.৫জি নেটওয়ার্কে ভয়েস ওভার এলটিই এবং ৫জি প্রযুক্তির সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রবি।
দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত থাকার অভিপ্রয়াসে দেশের সর্ববৃহৎ অনলাইন স্কুল রবি-টেন মিনিট স্কুল চালু করেছে অপারেটরটি। এছাড়া রবি দেশের সাতটি বিভাগীয় লাইব্রেরিতে ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান এবং ১০টি প্রধান রেল স্টেশনে নিরাপদ খাবার পানির ব্যবস্থাসহ সরকারি সেবা সম্পর্কিত তথ্য প্রদানে একসেস টু ইনফরমেশন’র (এটুআই) সাথে যৌথভাবে ৩৩৩ কল সেন্টার স্থাপন করেছে।
টেলিযোগাযোগ শিল্পে নতুন নতুন সব ডিজিটাল সেবা নিয়ে হাজির হচ্ছে রবি। এর মধ্যে রয়েছে দেশের প্রথম সমন্বিত ধর্মীয় জীবনধারার অ্যাপ ‘নূর’, স্পোর্টস অ্যাপ ‘মাই স্পোর্টস’, মোবাইল-ভিত্তিক হেলথ ইনস্যুরেন্স ডিজিটাল সার্ভিস ‘মাই হেলথ’, গ্রাহকদের ডিজিটাল সেলফ সার্ভিস সুবিধা ‘মাই রবি অ্যাপ’, বিনোদনমূলক কনটেন্ট প্লাটফর্ম ‘রবি স্ক্রিন’ ও সমন্বিত অডিও-ভিজুয়াল ডিজিটাল মিউজিক প্লাটফর্ম ‘স্প্ল্যাশ’সহ আরও অনেক সেবা।
উদ্ভাবনী ডিজিটাল অভিজ্ঞতায় গ্রাহকদের জীবনকে রাঙিয়ে তোলার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে নতুন ব্র্যান্ডের আবেদন নিয়ে হাজির হয় রবি। উদ্ভাবনের দিকে পূর্ণ মনোযোগ রবিকে একটি কর্মতৎপর পরিবেশ তৈরিতে সহযোগিতা করেছে। ফলস্বরূপ, রবি এখন ব্যবসায়িক প্রয়োজনে নতুন উদ্ভাবনের জন্য ডেটা অ্যানালিটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, ক্লাউড সলিউশন এবং অন্যান্য বিভিন্ন ডিজিটাল প্রযুক্তি স্থাপনে নেতৃত্বের সাথে কাজ করে চলেছে।